আল্লাহ আরশের উপর রয়েছেন তবে তার জ্ঞনের দিক দিয়ে তিনি আমাদের সাতে আছেন
বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম
আল্লাহ তাঁর আরশের উপর
রয়েছেন, তবে জ্ঞানের মাধ্যমে
তিনি আমাদের সাথে আছেন
মুফতী: আবদুররহমান বিন নাসের আল বারাক
অনুবাদক: সানাউল্লাহ নজির আহমদ
সম্পাদক: আবু বকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া
প্রকাশনায়: www.islamqa.info - ইসলাম প্রচার
ব্যুরো, রাবওয়াহ, রিয়াদ
সংক্ষিপ্ত বর্ণনা: প্রশ্ন: আল্লাহ তা‘আলা
বলেন: “ফেরেশতাগণ ও রূহ এমন এক দিনে
আল্লাহ্র দিকে ঊর্ধ্বগামী হয়, যে দিনের
পরিমাণ পঞ্চাশ হাজার বছর।” এ আয়াত কি
প্রমাণ করে যে, আল্লাহ তা‘আলা আরশের
উপর থেকে দুনিয়াবি কার্যাদি সম্পাদন করেন?
যদি এ এরূপ হয়, তাহলে তিনি আমাদের নিকটে
আছেন— এটা কীভাবে সম্ভব?
সংযোজন তারিখ: 2013-11-05
শর্ট লিংক: http://IslamHouse.com/448187
প্রশ্ন: আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
﴿ﺗَﻌۡﺮُﺝُ ﭐﻟۡﻤَﻠَٰٓﺌِﻜَﺔُ ﻭَﭐﻟﺮُّﻭﺡُ ﺇِﻟَﻴۡﻪِ ﻓِﻲ ﻳَﻮۡﻡٖ ﻛَﺎﻥَ ﻣِﻘۡﺪَﺍﺭُﻩُۥ ﺧَﻤۡﺴِﻴﻦَ
ﺃَﻟۡﻒَ ﺳَﻨَﺔٖ ٤ ﴾ [ﺍﻟﻤﻌﺎﺭﺝ : ٤ ]
“ফেরেশতাগণ ও রূহ এমন এক দিনে আল্লাহর
পানে ঊর্ধ্বগামী হয়, যার পরিমাণ পঞ্চাশ
হাজার বছর”। 1সূরা মা‘আরিজ: (৪)এ আয়াত কি
প্রমাণ করে যে, আল্লাহ তা‘আলা আরশে
থেকে দুনিয়াবি কার্যাদি সম্পাদন করেন? যদি
এ এরূপ হয়, তাহলে কিভাবে তিনি গলার ধমনীর
চেয়েও আমাদের নিকটবর্তী?
উত্তর: আল-হামদুলিল্লাহ।
কুরআন ও সুন্নাহ দ্বারা প্রমাণিত যে, আল্লাহ
তা‘আলা আসমানসমূহের উর্ধ্বে আরশে
আরোহণ করেছেন, তিনি সর্বোচ্চ ও মহান।
তিনি সবার উপরে, তার উপরে কিছু নেই।
ইরশাদ হচ্ছে:
﴿ﭐﻟﻠَّﻪُ ﭐﻟَّﺬِﻱ ﺧَﻠَﻖَ ﭐﻟﺴَّﻤَٰﻮَٰﺕِ ﻭَﭐﻟۡﺄَﺭۡﺽَ ﻭَﻣَﺎ ﺑَﻴۡﻨَﻬُﻤَﺎ ﻓِﻲ ﺳِﺘَّﺔِ ﺃَﻳَّﺎﻡٖ
ﺛُﻢَّ ﭐﺳۡﺘَﻮَﻯٰ ﻋَﻠَﻰ ﭐﻟۡﻌَﺮۡﺵِۖ ﻣَﺎ ﻟَﻜُﻢ ﻣِّﻦ ﺩُﻭﻧِﻪِۦ ﻣِﻦ ﻭَﻟِﻲّٖ ﻭَﻟَﺎ ﺷَﻔِﻴﻊٍۚ
ﺃَﻓَﻠَﺎ ﺗَﺘَﺬَﻛَّﺮُﻭﻥَ ٤﴾ [ ﺍﻟﺴﺠﺪﺓ : ٤]
“আল্লাহ, যিনি আসমান ও যমীন এবং এ দু’য়ের
মধ্যে যা কিছু আছে, তা ছয়দিনে সৃষ্টি
করেছেন। তারপর তিনি আরশের উপর উঠেছেন।
তিনি ছাড়া তোমাদের জন্য কোনো অভিভাবক
নেই এবং নেই সুপারিশকারী। তবুও কি তোমরা
উপদেশ গ্রহণ করবে না”? 2সূরা আলিফ লাম
মীম সাজদাহ: (৪) অপর আয়াতে তিনি বলেন:
﴿ﺇِﻥَّ ﺭَﺑَّﻜُﻢُ ﭐﻟﻠَّﻪُ ﭐﻟَّﺬِﻱ ﺧَﻠَﻖَ ﭐﻟﺴَّﻤَٰﻮَٰﺕِ ﻭَﭐﻟۡﺄَﺭۡﺽَ ﻓِﻲ ﺳِﺘَّﺔِ ﺃَﻳَّﺎﻡٖ ﺛُﻢَّ
ﭐﺳۡﺘَﻮَﻯٰ ﻋَﻠَﻰ ﭐﻟۡﻌَﺮۡﺵِۖ ﻳُﺪَﺑِّﺮُ ﭐﻟۡﺄَﻣۡﺮَۖ ٣ ﴾ [ﻳﻮﻧﺲ : ٣]
“নিশ্চয় তোমাদের রব আল্লাহ। যিনি
আসমানসমূহ ও যমীন সৃষ্টি করেছেন ছয় দিনে,
তারপর আরশে উঠেছেন। তিনি সব বিষয়
পরিচালনা করেন”। 3সূরা ইউনুস: (৩)অপর
আয়াতে তিনি বলেন:
﴿ﺇِﻟَﻴۡﻪِ ﻳَﺼۡﻌَﺪُ ﭐﻟۡﻜَﻠِﻢُ ﭐﻟﻄَّﻴِّﺐُ ﻭَﭐﻟۡﻌَﻤَﻞُ ﭐﻟﺼَّٰﻠِﺢُ ﻳَﺮۡﻓَﻌُﻪُۥۚ ١٠
﴾ [ ﻓﺎﻃﺮ: ١٠]
“তাঁরই পানে উত্থিত হয় ভাল কথা আর নেক
আমল তা উন্নীত করে”। 4সূরা ফাতির:
(১০)অপর আয়াতে তিনি বলেন:
﴿ﻫُﻮَ ﭐﻟۡﺄَﻭَّﻝُ ﻭَﭐﻟۡﺄٓﺧِﺮُ ﻭَﭐﻟﻈَّٰﻬِﺮُ ﻭَﭐﻟۡﺒَﺎﻃِﻦُۖ ﻭَﻫُﻮَ ﺑِﻜُﻞِّ ﺷَﻲۡﺀٍ ﻋَﻠِﻴﻢٌ ٣
﴾ [ﺍﻟﺤﺪﻳﺪ : ٣ ]
“তিনিই প্রথম ও শেষ এবং সবকিছুর উপরে ও
সবকিছুর নিকটে; আর তিনি সকল বিষয়ে সম্যক
অবগত”। 5সূরা আল-হাদিদ: (৩)নবী
সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন:
« ﻭَﺃَﻧْﺖَ ﺍﻟﻈَّﺎﻫِﺮُ ﻓَﻠَﻴْﺲَ ﻓَﻮْﻗَﻚَ ﺷَﻲْﺀٌ »
“আপনিই সবকিছুর উপরে, সুতরাং আপনার
উপরে কিছু নেই”। 6মুসলিম: (২৭১৬) এ বিষয়ে
আরো অনেক আয়াত ও হাদিস রয়েছে,
এতদসত্ত্বেও আল্লাহ তা'আলা বলেছেন যে,
তিনি বান্দার সাথে আছেন, যেখানেই তারা
থাকুক, যেমন তিনি ইরশাদ করেন:
﴿ﺃَﻟَﻢۡ ﺗَﺮَ ﺃَﻥَّ ﭐﻟﻠَّﻪَ ﻳَﻌۡﻠَﻢُ ﻣَﺎ ﻓِﻲ ﭐﻟﺴَّﻤَٰﻮَٰﺕِ ﻭَﻣَﺎ ﻓِﻲ ﭐﻟۡﺄَﺭۡﺽِۖ ﻣَﺎ
ﻳَﻜُﻮﻥُ ﻣِﻦ ﻧَّﺠۡﻮَﻯٰ ﺛَﻠَٰﺜَﺔٍ ﺇِﻟَّﺎ ﻫُﻮَ ﺭَﺍﺑِﻌُﻬُﻢۡ ﻭَﻟَﺎ ﺧَﻤۡﺴَﺔٍ ﺇِﻟَّﺎ ﻫُﻮَ
ﺳَﺎﺩِﺳُﻬُﻢۡ ﻭَﻟَﺎٓ ﺃَﺩۡﻧَﻰٰ ﻣِﻦ ﺫَٰﻟِﻚَ ﻭَﻟَﺎٓ ﺃَﻛۡﺜَﺮَ ﺇِﻟَّﺎ ﻫُﻮَ ﻣَﻌَﻬُﻢۡ ﺃَﻳۡﻦَ ﻣَﺎ ﻛَﺎﻧُﻮﺍْۖ
٧ ﴾ [ ﺍﻟﻤﺠﺎﺩﻟﺔ : ٧]
“তুমি কি লক্ষ্য করনি যে, আসমানসমূহ ও যমীনে
যা কিছু আছে নিশ্চয় আল্লাহ তা জানেন? তিন
জনের কোনো গোপন পরামর্শ হয় না যাতে
চতুর্থজন হিসেবে আল্লাহ থাকেন না, আর পাঁচ
জনেরও হয় না, যাতে ষষ্ঠজন হিসেবে তিনি
থাকেন না। এর চেয়ে কম হোক কিংবা বেশি
হোক, তিনি তো তাদের সঙ্গেই আছেন, তারা
যেখানেই থাকুক না কেন।”। 7সূরা আল-
মুজাদালাহ: (৭)বরং একই আয়াতে তিনি
বলেছেন আরশের উপরে আছেন, আবার বান্দার
সাথেও আছেন, যেমন তিনি ইরশাদ করেন:
﴿ﻫُﻮَ ﭐﻟَّﺬِﻱ ﺧَﻠَﻖَ ﭐﻟﺴَّﻤَٰﻮَٰﺕِ ﻭَﭐﻟۡﺄَﺭۡﺽَ ﻓِﻲ ﺳِﺘَّﺔِ ﺃَﻳَّﺎﻡٖ ﺛُﻢَّ ﭐﺳۡﺘَﻮَﻯٰ
ﻋَﻠَﻰ ﭐﻟۡﻌَﺮۡﺵِۖ ﻳَﻌۡﻠَﻢُ ﻣَﺎ ﻳَﻠِﺞُ ﻓِﻲ ﭐﻟۡﺄَﺭۡﺽِ ﻭَﻣَﺎ ﻳَﺨۡﺮُﺝُ ﻣِﻨۡﻬَﺎ ﻭَﻣَﺎ
ﻳَﻨﺰِﻝُ ﻣِﻦَ ﭐﻟﺴَّﻤَﺎٓﺀِ ﻭَﻣَﺎ ﻳَﻌۡﺮُﺝُ ﻓِﻴﻬَﺎۖ ﻭَﻫُﻮَ ﻣَﻌَﻜُﻢۡ ﺃَﻳۡﻦَ ﻣَﺎ ﻛُﻨﺘُﻢۡۚ ﻭَﭐﻟﻠَّﻪُ
ﺑِﻤَﺎ ﺗَﻌۡﻤَﻠُﻮﻥَ ﺑَﺼِﻴﺮٞ ٤ ﴾ [ ﺍﻟﺤﺪﻳﺪ: ٤]
“তিনিই আসমানসমূহ ও যমীন ছয় দিনে সৃষ্টি
করেছেন, তারপর তিনি আরশে উঠেছেন। তিনি
জানেন যমীনে যা কিছু প্রবেশ করে এবং তা
থেকে যা কিছু বের হয়; আর আসমান থেকে যা
কিছু অবতীর্ণ হয় এবং তাতে যা কিছু উত্থিত
হয়। আর তোমরা যেখানেই থাক না কেন, তিনি
তোমাদের সাথেই আছেন। আর তোমরা যা কর,
আল্লাহ তার সম্যক দ্রষ্টা”। 8সূরা আল-হাদিদ:
(৪)
আল্লাহ বান্দার সাথে আছেন অর্থ এ নয় যে,
তিনি মখলুকের সাথে মিলিত, বরং তার অর্থ
তিনি জ্ঞান ও ইলমের দ্বারা বান্দার সাথে
আছেন, তিনি আরশের উপরে, বান্দার কোনো
আমল তার নিকট গোপন নয়। আর তিনি যে
বলেছেন:
﴿ﻭَﻧَﺤۡﻦُ ﺃَﻗۡﺮَﺏُ ﺇِﻟَﻴۡﻪِ ﻣِﻦۡ ﺣَﺒۡﻞِ ﭐﻟۡﻮَﺭِﻳﺪِ ١٦ ﴾ [ ﻕ: ١٦]
“আর আমরা তার গলার ধমনী হতেও অধিক
কাছে”। 9সূরা কাফ: (১৬)অধিকাংশ মুফাসসির এ
আয়াত প্রসঙ্গে বলেছেন: এখানে উদ্দেশ্য
মালায়েকা বা ফেরেশতাদের সাথে আল্লাহর
নৈকট্য, যারা বান্দার আমল সংরক্ষণের
দায়িত্বে নিয়োজিত। আর যারা বলেছেন,
এখানে উদ্দেশ্য বান্দার সাথে আল্লাহর
নৈকট্য, তারা এর ব্যাখ্যা দিয়েছেন আল্লাহর
ইলম ও জ্ঞান, অর্থাৎ আল্লাহ ইলম ও জ্ঞান
দ্বারা বান্দার নৈকট্যে আছেন, যেমন আল্লাহ
বান্দার সাথে আছেন অর্থের ক্ষেত্রে বলা
হয়েছে। এটাই আহলে সুন্নত ওয়াল জামাতের
অভিমত, তারা বিশ্বাস করেন আল্লাহ আরশের
উপর আছেন (বাস্তবিকই), অনুরূপ তিনি বান্দার
সাথেও আছেন (জ্ঞানে)। তারা বিশ্বাস করে
যে মখলুকের সাথে একাকার কিংবা মখলুকের
মাঝে বিলিন হওয়া থেকে আল্লাহ পবিত্র।
যারা আল্লাহর সিফাতকে অস্বীকার করে,
যেমন জাহমিয়া ও তাদের অনুসারীগণ
আল্লাহর আরশে উঠা ও মখলুকের উপর উর্ধ্বে
তাঁর অবস্থানকে অস্বীকার করে। তারা বলে:
আল্লাহ সর্বত্র বিরাজমান। আল্লাহ তাদেরকে
হিদায়েত করুন।
সূত্র:
ﻣﻮﻗﻊ ﺍﻹﺳﻼﻡ ﺳﺆﺍﻝ ﻭﺟﻮﺍﺏ
আল্লাহ তাঁর আরশের উপর
রয়েছেন, তবে জ্ঞানের মাধ্যমে
তিনি আমাদের সাথে আছেন
মুফতী: আবদুররহমান বিন নাসের আল বারাক
অনুবাদক: সানাউল্লাহ নজির আহমদ
সম্পাদক: আবু বকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া
প্রকাশনায়: www.islamqa.info - ইসলাম প্রচার
ব্যুরো, রাবওয়াহ, রিয়াদ
সংক্ষিপ্ত বর্ণনা: প্রশ্ন: আল্লাহ তা‘আলা
বলেন: “ফেরেশতাগণ ও রূহ এমন এক দিনে
আল্লাহ্র দিকে ঊর্ধ্বগামী হয়, যে দিনের
পরিমাণ পঞ্চাশ হাজার বছর।” এ আয়াত কি
প্রমাণ করে যে, আল্লাহ তা‘আলা আরশের
উপর থেকে দুনিয়াবি কার্যাদি সম্পাদন করেন?
যদি এ এরূপ হয়, তাহলে তিনি আমাদের নিকটে
আছেন— এটা কীভাবে সম্ভব?
সংযোজন তারিখ: 2013-11-05
শর্ট লিংক: http://IslamHouse.com/448187
প্রশ্ন: আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
﴿ﺗَﻌۡﺮُﺝُ ﭐﻟۡﻤَﻠَٰٓﺌِﻜَﺔُ ﻭَﭐﻟﺮُّﻭﺡُ ﺇِﻟَﻴۡﻪِ ﻓِﻲ ﻳَﻮۡﻡٖ ﻛَﺎﻥَ ﻣِﻘۡﺪَﺍﺭُﻩُۥ ﺧَﻤۡﺴِﻴﻦَ
ﺃَﻟۡﻒَ ﺳَﻨَﺔٖ ٤ ﴾ [ﺍﻟﻤﻌﺎﺭﺝ : ٤ ]
“ফেরেশতাগণ ও রূহ এমন এক দিনে আল্লাহর
পানে ঊর্ধ্বগামী হয়, যার পরিমাণ পঞ্চাশ
হাজার বছর”। 1সূরা মা‘আরিজ: (৪)এ আয়াত কি
প্রমাণ করে যে, আল্লাহ তা‘আলা আরশে
থেকে দুনিয়াবি কার্যাদি সম্পাদন করেন? যদি
এ এরূপ হয়, তাহলে কিভাবে তিনি গলার ধমনীর
চেয়েও আমাদের নিকটবর্তী?
উত্তর: আল-হামদুলিল্লাহ।
কুরআন ও সুন্নাহ দ্বারা প্রমাণিত যে, আল্লাহ
তা‘আলা আসমানসমূহের উর্ধ্বে আরশে
আরোহণ করেছেন, তিনি সর্বোচ্চ ও মহান।
তিনি সবার উপরে, তার উপরে কিছু নেই।
ইরশাদ হচ্ছে:
﴿ﭐﻟﻠَّﻪُ ﭐﻟَّﺬِﻱ ﺧَﻠَﻖَ ﭐﻟﺴَّﻤَٰﻮَٰﺕِ ﻭَﭐﻟۡﺄَﺭۡﺽَ ﻭَﻣَﺎ ﺑَﻴۡﻨَﻬُﻤَﺎ ﻓِﻲ ﺳِﺘَّﺔِ ﺃَﻳَّﺎﻡٖ
ﺛُﻢَّ ﭐﺳۡﺘَﻮَﻯٰ ﻋَﻠَﻰ ﭐﻟۡﻌَﺮۡﺵِۖ ﻣَﺎ ﻟَﻜُﻢ ﻣِّﻦ ﺩُﻭﻧِﻪِۦ ﻣِﻦ ﻭَﻟِﻲّٖ ﻭَﻟَﺎ ﺷَﻔِﻴﻊٍۚ
ﺃَﻓَﻠَﺎ ﺗَﺘَﺬَﻛَّﺮُﻭﻥَ ٤﴾ [ ﺍﻟﺴﺠﺪﺓ : ٤]
“আল্লাহ, যিনি আসমান ও যমীন এবং এ দু’য়ের
মধ্যে যা কিছু আছে, তা ছয়দিনে সৃষ্টি
করেছেন। তারপর তিনি আরশের উপর উঠেছেন।
তিনি ছাড়া তোমাদের জন্য কোনো অভিভাবক
নেই এবং নেই সুপারিশকারী। তবুও কি তোমরা
উপদেশ গ্রহণ করবে না”? 2সূরা আলিফ লাম
মীম সাজদাহ: (৪) অপর আয়াতে তিনি বলেন:
﴿ﺇِﻥَّ ﺭَﺑَّﻜُﻢُ ﭐﻟﻠَّﻪُ ﭐﻟَّﺬِﻱ ﺧَﻠَﻖَ ﭐﻟﺴَّﻤَٰﻮَٰﺕِ ﻭَﭐﻟۡﺄَﺭۡﺽَ ﻓِﻲ ﺳِﺘَّﺔِ ﺃَﻳَّﺎﻡٖ ﺛُﻢَّ
ﭐﺳۡﺘَﻮَﻯٰ ﻋَﻠَﻰ ﭐﻟۡﻌَﺮۡﺵِۖ ﻳُﺪَﺑِّﺮُ ﭐﻟۡﺄَﻣۡﺮَۖ ٣ ﴾ [ﻳﻮﻧﺲ : ٣]
“নিশ্চয় তোমাদের রব আল্লাহ। যিনি
আসমানসমূহ ও যমীন সৃষ্টি করেছেন ছয় দিনে,
তারপর আরশে উঠেছেন। তিনি সব বিষয়
পরিচালনা করেন”। 3সূরা ইউনুস: (৩)অপর
আয়াতে তিনি বলেন:
﴿ﺇِﻟَﻴۡﻪِ ﻳَﺼۡﻌَﺪُ ﭐﻟۡﻜَﻠِﻢُ ﭐﻟﻄَّﻴِّﺐُ ﻭَﭐﻟۡﻌَﻤَﻞُ ﭐﻟﺼَّٰﻠِﺢُ ﻳَﺮۡﻓَﻌُﻪُۥۚ ١٠
﴾ [ ﻓﺎﻃﺮ: ١٠]
“তাঁরই পানে উত্থিত হয় ভাল কথা আর নেক
আমল তা উন্নীত করে”। 4সূরা ফাতির:
(১০)অপর আয়াতে তিনি বলেন:
﴿ﻫُﻮَ ﭐﻟۡﺄَﻭَّﻝُ ﻭَﭐﻟۡﺄٓﺧِﺮُ ﻭَﭐﻟﻈَّٰﻬِﺮُ ﻭَﭐﻟۡﺒَﺎﻃِﻦُۖ ﻭَﻫُﻮَ ﺑِﻜُﻞِّ ﺷَﻲۡﺀٍ ﻋَﻠِﻴﻢٌ ٣
﴾ [ﺍﻟﺤﺪﻳﺪ : ٣ ]
“তিনিই প্রথম ও শেষ এবং সবকিছুর উপরে ও
সবকিছুর নিকটে; আর তিনি সকল বিষয়ে সম্যক
অবগত”। 5সূরা আল-হাদিদ: (৩)নবী
সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন:
« ﻭَﺃَﻧْﺖَ ﺍﻟﻈَّﺎﻫِﺮُ ﻓَﻠَﻴْﺲَ ﻓَﻮْﻗَﻚَ ﺷَﻲْﺀٌ »
“আপনিই সবকিছুর উপরে, সুতরাং আপনার
উপরে কিছু নেই”। 6মুসলিম: (২৭১৬) এ বিষয়ে
আরো অনেক আয়াত ও হাদিস রয়েছে,
এতদসত্ত্বেও আল্লাহ তা'আলা বলেছেন যে,
তিনি বান্দার সাথে আছেন, যেখানেই তারা
থাকুক, যেমন তিনি ইরশাদ করেন:
﴿ﺃَﻟَﻢۡ ﺗَﺮَ ﺃَﻥَّ ﭐﻟﻠَّﻪَ ﻳَﻌۡﻠَﻢُ ﻣَﺎ ﻓِﻲ ﭐﻟﺴَّﻤَٰﻮَٰﺕِ ﻭَﻣَﺎ ﻓِﻲ ﭐﻟۡﺄَﺭۡﺽِۖ ﻣَﺎ
ﻳَﻜُﻮﻥُ ﻣِﻦ ﻧَّﺠۡﻮَﻯٰ ﺛَﻠَٰﺜَﺔٍ ﺇِﻟَّﺎ ﻫُﻮَ ﺭَﺍﺑِﻌُﻬُﻢۡ ﻭَﻟَﺎ ﺧَﻤۡﺴَﺔٍ ﺇِﻟَّﺎ ﻫُﻮَ
ﺳَﺎﺩِﺳُﻬُﻢۡ ﻭَﻟَﺎٓ ﺃَﺩۡﻧَﻰٰ ﻣِﻦ ﺫَٰﻟِﻚَ ﻭَﻟَﺎٓ ﺃَﻛۡﺜَﺮَ ﺇِﻟَّﺎ ﻫُﻮَ ﻣَﻌَﻬُﻢۡ ﺃَﻳۡﻦَ ﻣَﺎ ﻛَﺎﻧُﻮﺍْۖ
٧ ﴾ [ ﺍﻟﻤﺠﺎﺩﻟﺔ : ٧]
“তুমি কি লক্ষ্য করনি যে, আসমানসমূহ ও যমীনে
যা কিছু আছে নিশ্চয় আল্লাহ তা জানেন? তিন
জনের কোনো গোপন পরামর্শ হয় না যাতে
চতুর্থজন হিসেবে আল্লাহ থাকেন না, আর পাঁচ
জনেরও হয় না, যাতে ষষ্ঠজন হিসেবে তিনি
থাকেন না। এর চেয়ে কম হোক কিংবা বেশি
হোক, তিনি তো তাদের সঙ্গেই আছেন, তারা
যেখানেই থাকুক না কেন।”। 7সূরা আল-
মুজাদালাহ: (৭)বরং একই আয়াতে তিনি
বলেছেন আরশের উপরে আছেন, আবার বান্দার
সাথেও আছেন, যেমন তিনি ইরশাদ করেন:
﴿ﻫُﻮَ ﭐﻟَّﺬِﻱ ﺧَﻠَﻖَ ﭐﻟﺴَّﻤَٰﻮَٰﺕِ ﻭَﭐﻟۡﺄَﺭۡﺽَ ﻓِﻲ ﺳِﺘَّﺔِ ﺃَﻳَّﺎﻡٖ ﺛُﻢَّ ﭐﺳۡﺘَﻮَﻯٰ
ﻋَﻠَﻰ ﭐﻟۡﻌَﺮۡﺵِۖ ﻳَﻌۡﻠَﻢُ ﻣَﺎ ﻳَﻠِﺞُ ﻓِﻲ ﭐﻟۡﺄَﺭۡﺽِ ﻭَﻣَﺎ ﻳَﺨۡﺮُﺝُ ﻣِﻨۡﻬَﺎ ﻭَﻣَﺎ
ﻳَﻨﺰِﻝُ ﻣِﻦَ ﭐﻟﺴَّﻤَﺎٓﺀِ ﻭَﻣَﺎ ﻳَﻌۡﺮُﺝُ ﻓِﻴﻬَﺎۖ ﻭَﻫُﻮَ ﻣَﻌَﻜُﻢۡ ﺃَﻳۡﻦَ ﻣَﺎ ﻛُﻨﺘُﻢۡۚ ﻭَﭐﻟﻠَّﻪُ
ﺑِﻤَﺎ ﺗَﻌۡﻤَﻠُﻮﻥَ ﺑَﺼِﻴﺮٞ ٤ ﴾ [ ﺍﻟﺤﺪﻳﺪ: ٤]
“তিনিই আসমানসমূহ ও যমীন ছয় দিনে সৃষ্টি
করেছেন, তারপর তিনি আরশে উঠেছেন। তিনি
জানেন যমীনে যা কিছু প্রবেশ করে এবং তা
থেকে যা কিছু বের হয়; আর আসমান থেকে যা
কিছু অবতীর্ণ হয় এবং তাতে যা কিছু উত্থিত
হয়। আর তোমরা যেখানেই থাক না কেন, তিনি
তোমাদের সাথেই আছেন। আর তোমরা যা কর,
আল্লাহ তার সম্যক দ্রষ্টা”। 8সূরা আল-হাদিদ:
(৪)
আল্লাহ বান্দার সাথে আছেন অর্থ এ নয় যে,
তিনি মখলুকের সাথে মিলিত, বরং তার অর্থ
তিনি জ্ঞান ও ইলমের দ্বারা বান্দার সাথে
আছেন, তিনি আরশের উপরে, বান্দার কোনো
আমল তার নিকট গোপন নয়। আর তিনি যে
বলেছেন:
﴿ﻭَﻧَﺤۡﻦُ ﺃَﻗۡﺮَﺏُ ﺇِﻟَﻴۡﻪِ ﻣِﻦۡ ﺣَﺒۡﻞِ ﭐﻟۡﻮَﺭِﻳﺪِ ١٦ ﴾ [ ﻕ: ١٦]
“আর আমরা তার গলার ধমনী হতেও অধিক
কাছে”। 9সূরা কাফ: (১৬)অধিকাংশ মুফাসসির এ
আয়াত প্রসঙ্গে বলেছেন: এখানে উদ্দেশ্য
মালায়েকা বা ফেরেশতাদের সাথে আল্লাহর
নৈকট্য, যারা বান্দার আমল সংরক্ষণের
দায়িত্বে নিয়োজিত। আর যারা বলেছেন,
এখানে উদ্দেশ্য বান্দার সাথে আল্লাহর
নৈকট্য, তারা এর ব্যাখ্যা দিয়েছেন আল্লাহর
ইলম ও জ্ঞান, অর্থাৎ আল্লাহ ইলম ও জ্ঞান
দ্বারা বান্দার নৈকট্যে আছেন, যেমন আল্লাহ
বান্দার সাথে আছেন অর্থের ক্ষেত্রে বলা
হয়েছে। এটাই আহলে সুন্নত ওয়াল জামাতের
অভিমত, তারা বিশ্বাস করেন আল্লাহ আরশের
উপর আছেন (বাস্তবিকই), অনুরূপ তিনি বান্দার
সাথেও আছেন (জ্ঞানে)। তারা বিশ্বাস করে
যে মখলুকের সাথে একাকার কিংবা মখলুকের
মাঝে বিলিন হওয়া থেকে আল্লাহ পবিত্র।
যারা আল্লাহর সিফাতকে অস্বীকার করে,
যেমন জাহমিয়া ও তাদের অনুসারীগণ
আল্লাহর আরশে উঠা ও মখলুকের উপর উর্ধ্বে
তাঁর অবস্থানকে অস্বীকার করে। তারা বলে:
আল্লাহ সর্বত্র বিরাজমান। আল্লাহ তাদেরকে
হিদায়েত করুন।
সূত্র:
ﻣﻮﻗﻊ ﺍﻹﺳﻼﻡ ﺳﺆﺍﻝ ﻭﺟﻮﺍﺏ
No comments