নিয়ত মুখে উচ্চারণ করা স্পষ্ট বিদআত?
বিদআত❖।❖
_______________
► নিয়ত না হলে কোন ইবাদতই বিশুদ্ধ হয়
না। আরবী নিয়ত শব্দের অর্থ হল মনে
ইচ্ছা পোষণ করা। ফরয, ওয়াজিব, সুন্নত,
নফল যে নামাযই হোক বা যত রাকাতই
হোক, মনে মনে এর নিয়ত করতে
হবে। আরবি বা বাংলায় মুখে এর নিয়ত উচ্চারণ
করা যাবে না। কারণ এটি একটা বিদআত।
_______________
► কেউ কেউ নাওয়াইতুয়ান উসাল্লি……
পড়ে থাকেন এবং অনেক সময় কিছু মূর্খ
লোক যারা অনেক সময় সমাজে
আলেমের বেশ ধরে থাকেন তারাও এটা
পড়তে বলে অথচ হাদীসে তন্ন তন্ন
করে খুঁজলেও কোথাও পাওয়া যাবে না
যে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
কখনো মুখে উচ্চারণ করে নিয়ত
করেছেন বা করতে বলেছেন। বরং তিনি
মনে মনে নিয়ত করেছেন (দেখুন
সহীহ বোখারী শরীফ)।
আর নাওয়াইতুয়ান উসাল্লি…… নামক এই
আরবী বাক্য নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম ওফাতের অনেক বছর পর মানুষের
দ্বারা নতুন আবিষ্কৃত বাক্য। সহীহ হাদীস
তো দূরের কথা কোন যঈফ হাদীসেও
মুখে নিয়ত উচ্চারণের কথা বলা নেই। তাই
ইসলামের শরীয়াতের বিধান হল মনে
মনে নিয়ত করা। (সহীহুল বোখারী –
১/১ , সহীহ মুসলিমঃ ৪৬)
_______________
► নিয়ত সম্পর্কে পৃথিবীর বিভিন্ন বড় বড়
আলেমদের মন্তব্যঃ
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
~~~~~~~~~~~~~~~~~
(০১) মোল্লা আলী ক্বারী হানাফী
(রহ) বলেনঃ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম ত্রিশ হাজার (৩০,০০০) ওয়াক্ত নামায
আদায় করেছেন। তথাপি রাসূল সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে এই কথা বর্ণিত
নেই যে, আমি অমুক অমুক ওয়াক্ত
নামাযের নিয়ত করছি। সুতরাং মুখে নিয়ত
উচ্চারণ না করাটাই সুন্নাত।
জেনে রাখুন , শব্দ উচ্চারণ করে মুখে
নিয়ত করা জায়েয নয়। কারণ এটা বিদআত।
সুতরাং যে কাজ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম করেননি তা যে করে সে
বিদয়াতী। (প্রমান দেখুনঃ মিরকাত ১/৩৬ ,
৩৭)
_______________
(০২) আলাম্মা ইবনুল হুমাম হানাফী (রহ)
বলেনঃ হাদীসের বিশেষজ্ঞরা বলেন ,
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
থেকে সহীহ ও যঈফ কোন সনদেও
এই কথা প্রমাণিত নেই যে , তিনি নামায
আরাম্ভ করার সময় বলতেন যে , আমি এই
এই নামায আদায় করেছি। কোন সাহাবী এবং
তাবেঈ থেকেও প্রমাণিত নেই। বরং এই
কথা বর্ণিত আছে যে , নবী সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম নামায আরম্ভের সময়
কেবল শুধুতাকবীর বলতেন। তাই মুখে
নিয়ত পাঠ করা বিদআত। (প্রমান দেখুনঃ
ফাতহুল কাদীর ১/৩৮৬ ; কাবীরী ২৫২
পৃষ্ঠা)
_______________
(০৩) আব্দুল হাই লাখনৌভী হানাফী (রহ)
বলেনঃ মুখে নিয়ত পাঠ করা বিদআত।
(দেখুনঃ সিরাতুল মুস্তাকীম)
_______________
(০৪) আবদুল হাক দেহলভী হানাফী (রহ)
লিখেছেনঃ মুখে নিয়ত পাঠ করা রাসূল
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাহাবা কেরাম,
তাবেঈ, কারো হতেই কোন প্রমান
পাওয়া যায় না। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম যখন নামাযে দাঁড়াতেন তখন শুধু
“আল্লাহু আকবার” বলতেন। এর পূর্বে
মুখে নিয়ত পড়ার কোন শব্দ হাদীসে
নেই। সেজন্য মুহাদ্দিসগণ মুখে নিয়ত পাঠ
করাকে বিদ’আত ও মাকরুহ বলেছেন।
(দেখুনঃ ফাতহুল কাদীর ; মাদারিজুন
নাবুওয়্যাত)
_______________
(০৫) আলাম্মা শাফী হানাফী (রহ) বলেনঃ
চার ইমাম থেকেও মুখে নিয়ত পড়া প্রমাণিত
নেই। (দেখুনঃ শামী ১/৩৮৬ ; বাহরুর রায়িক
১/২৭৮)
(০৬) আশরাফ আলী থানবী (রহ)
লিখেছেনঃ সমাজে যেসব নিয়তনামা
প্রচলিত আছে তা মুখে নিয়ত পাঠ করার
কোন প্রয়োজন নেই। (দেখুনঃ
বেহেস্তি জেওর ২/১৭-১৮)
_______________
(০৭) হানাফী ফিকাহ “দুররে মুখতারে”
রয়েছেঃ নিয়তনামা অর্থাৎ “নাওয়াইতুয়ান
উসাল্লী ……” পাঠ সম্পর্কে সহীহ
হাদীস তো দূরের কথা কোন যঈফ
হাদীসেও নেই। চার ইমামের একজনও
এই নিয়ত পাঠ করতেন না। মুখে নিয়ত পাঠ
করা বিদ’আত। (প্রমান দেখুনঃ দুররে মুখতার
১/৪৯ , হিদায়া ১/২২)
_______________
(০৮) মালিকী মাযহাব মতে মুখে উচ্চারণ
করে নিয়ত পাঠ করা মাকরুহ। (প্রমান দেখুনঃ
মিরকাত ১/৩৬)
_______________
(০৯) হাম্বলী মাযহাব মতে মুখে উচ্চারণ
করে নিয়ত পাঠ করা বিদ’আত। (প্রমান
দেখুনঃ মিরকাত ১/৩৬)
_______________
(১০) হাফিয ইবনুল ক্বাইয়্যিম (রহ) বলেনঃ
মুখে নিয়ত পাঠ করা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়া সাল্লাম, সাহাবায়ে কেরাম , তাবেঈ ,
কারো হতেই কোন প্রমান পাওয়া যায় না।
মুখে পাঠের এই পদ্ধতি শয়তানের একটি
কুমন্ত্রণা। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম যখন নামাযে দাঁড়াতেন তখন শুধু
“আল্লাহু আকবার” বলতেন। আর আগে
কিছু বলতেন না। সুতরাং মুখে উচ্চারণ করে
নিয়ত পাঠ করা বিদ’আত। চার ইমামও এরূপ
নিয়তনামা পড়াকে পছন্দ করেননি। (প্রমান
দেখুনঃ ইগাসাতুল লুহফান ১/১৩৬ ; যাদুল
মা’আদ ১/৫১)
_______________
(১১) সৌদি আরবের সর্বোচ্চ ওলামা
পরিষদের সদস্য এবং জাতীয় ফতোয়া
বোর্ডের স্থায়ী সদস্য – মুহাম্মদ বিন
সালেহ আল উসাইমীন (রহঃ) বলেনঃ
আরবী নিয়ত শব্দের অর্থ হল মনে ইচ্ছা
পোষণ করা। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম থেকে এটা প্রমাণিত নেই। না
প্রমাণিত আছে কোন সাহাবী এবং তাবেঈ
থেকেও। তাই মুখে নিয়ত পাঠ করা বিদআত।
(প্রমান দেখুনঃ ফাতাওয়া আরকানুল ইসলাম ,
৩৩৯-৩৪০ পৃষ্ঠা)
_______________
(১২) ইমাম ইবনু তাইমিয়াহ (রহ) বলেনঃ শব্দ
করে মুখে উচ্চারণ করে নিয়ত পাঠ করা
নিকৃষ্ট বিদ’আত। যে ব্যাক্তি একে উত্তম
বা মুস্তাহাব বলবে তাকে তওবা করার
নির্দেশ দিতে হবে। যদি সে তওবা করে
নেয় তাহলে ভাল , অন্যথায় তাকে
উপযুক্ত শাস্তি দিতে হবে। (দেখুনঃ
মাজমু’আহ ফাতাওয়াহ শায়খুল ইসলাম ইবনে
তাইমিয়াহ)
_______________
(১৩) মদীনার রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম এর মসজিদে নববীর খতীব এবং
মদীনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যক্ষ
আল্লামা আবু বাকার জাবির আল-জাযায়েরী
তার রচিত গ্রন্থে লিখেছেন, নামাযী
যে নামাযের জন্য দাঁড়াবে, মনে মনে
তার নিয়ত করা আবশ্যক। নিয়ত মুখে উচ্চারণ
করে পড়া রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম এর সুন্নাতের বিরোধী অর্থাৎ
বিদআত। চার ইমাম সহ তার কোন অন্ধ
অনুসারীও মুখে মুখে কোন শব্দ
উচ্চারণ করতে বলেননি।
(তার নিজ রচিত – পবিত্রতা অর্জন ও নামায
আদায়ের পদ্ধতি কিতাবের ২০ পৃঃ)
_______________
(১৪) সৌদি আরবের মুফতী প্রধান,
মহাপরিচালিক ইসলামী গবেষণা ও ফতোয়া
অধিদপ্তর ও উচ্চ ওলামা পরিষদের প্রধান
এবং ধর্মমন্ত্রী শায়েখ আব্দুল আযীয
বিন আব্দুল্লাহ বিন বায (রঃ) তার নিজ রচিত
গ্রন্থে লিখেছেন, মুখে নিয়ত করা
যাবে না। কেননা শরিয়তে এরূপ করার হুকুম
নেই বরং এটা একটি বিদআত। কারণ রাসুল
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কিংবা
সাহাবীগণ মুখে উচ্চারণ করে নিয়ত
করেন নাই। ( তার নিজ রচিত – নবী করিম
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর নামায পড়ার
পদ্ধতি কিতাবের ৫ পৃঃ – ধর্ম বিষয়ক
মন্ত্রণালয়, মুদ্রণ ও প্রকাশনা বিষয়ক সংস্থা,
রিয়াদ, সৌদী আরব, ১৪১৬ হিঃ, ১৯৯৫ ইং সালে
প্রকাশিত
(কিঞ্চিত সংশোধিত by শাইখ আব্দুল্লাহিল
হাদী বিন আব্দুল জলীল)
_______________
► নিয়ত না হলে কোন ইবাদতই বিশুদ্ধ হয়
না। আরবী নিয়ত শব্দের অর্থ হল মনে
ইচ্ছা পোষণ করা। ফরয, ওয়াজিব, সুন্নত,
নফল যে নামাযই হোক বা যত রাকাতই
হোক, মনে মনে এর নিয়ত করতে
হবে। আরবি বা বাংলায় মুখে এর নিয়ত উচ্চারণ
করা যাবে না। কারণ এটি একটা বিদআত।
_______________
► কেউ কেউ নাওয়াইতুয়ান উসাল্লি……
পড়ে থাকেন এবং অনেক সময় কিছু মূর্খ
লোক যারা অনেক সময় সমাজে
আলেমের বেশ ধরে থাকেন তারাও এটা
পড়তে বলে অথচ হাদীসে তন্ন তন্ন
করে খুঁজলেও কোথাও পাওয়া যাবে না
যে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
কখনো মুখে উচ্চারণ করে নিয়ত
করেছেন বা করতে বলেছেন। বরং তিনি
মনে মনে নিয়ত করেছেন (দেখুন
সহীহ বোখারী শরীফ)।
আর নাওয়াইতুয়ান উসাল্লি…… নামক এই
আরবী বাক্য নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম ওফাতের অনেক বছর পর মানুষের
দ্বারা নতুন আবিষ্কৃত বাক্য। সহীহ হাদীস
তো দূরের কথা কোন যঈফ হাদীসেও
মুখে নিয়ত উচ্চারণের কথা বলা নেই। তাই
ইসলামের শরীয়াতের বিধান হল মনে
মনে নিয়ত করা। (সহীহুল বোখারী –
১/১ , সহীহ মুসলিমঃ ৪৬)
_______________
► নিয়ত সম্পর্কে পৃথিবীর বিভিন্ন বড় বড়
আলেমদের মন্তব্যঃ
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
~~~~~~~~~~~~~~~~~
(০১) মোল্লা আলী ক্বারী হানাফী
(রহ) বলেনঃ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম ত্রিশ হাজার (৩০,০০০) ওয়াক্ত নামায
আদায় করেছেন। তথাপি রাসূল সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে এই কথা বর্ণিত
নেই যে, আমি অমুক অমুক ওয়াক্ত
নামাযের নিয়ত করছি। সুতরাং মুখে নিয়ত
উচ্চারণ না করাটাই সুন্নাত।
জেনে রাখুন , শব্দ উচ্চারণ করে মুখে
নিয়ত করা জায়েয নয়। কারণ এটা বিদআত।
সুতরাং যে কাজ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম করেননি তা যে করে সে
বিদয়াতী। (প্রমান দেখুনঃ মিরকাত ১/৩৬ ,
৩৭)
_______________
(০২) আলাম্মা ইবনুল হুমাম হানাফী (রহ)
বলেনঃ হাদীসের বিশেষজ্ঞরা বলেন ,
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
থেকে সহীহ ও যঈফ কোন সনদেও
এই কথা প্রমাণিত নেই যে , তিনি নামায
আরাম্ভ করার সময় বলতেন যে , আমি এই
এই নামায আদায় করেছি। কোন সাহাবী এবং
তাবেঈ থেকেও প্রমাণিত নেই। বরং এই
কথা বর্ণিত আছে যে , নবী সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম নামায আরম্ভের সময়
কেবল শুধুতাকবীর বলতেন। তাই মুখে
নিয়ত পাঠ করা বিদআত। (প্রমান দেখুনঃ
ফাতহুল কাদীর ১/৩৮৬ ; কাবীরী ২৫২
পৃষ্ঠা)
_______________
(০৩) আব্দুল হাই লাখনৌভী হানাফী (রহ)
বলেনঃ মুখে নিয়ত পাঠ করা বিদআত।
(দেখুনঃ সিরাতুল মুস্তাকীম)
_______________
(০৪) আবদুল হাক দেহলভী হানাফী (রহ)
লিখেছেনঃ মুখে নিয়ত পাঠ করা রাসূল
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাহাবা কেরাম,
তাবেঈ, কারো হতেই কোন প্রমান
পাওয়া যায় না। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম যখন নামাযে দাঁড়াতেন তখন শুধু
“আল্লাহু আকবার” বলতেন। এর পূর্বে
মুখে নিয়ত পড়ার কোন শব্দ হাদীসে
নেই। সেজন্য মুহাদ্দিসগণ মুখে নিয়ত পাঠ
করাকে বিদ’আত ও মাকরুহ বলেছেন।
(দেখুনঃ ফাতহুল কাদীর ; মাদারিজুন
নাবুওয়্যাত)
_______________
(০৫) আলাম্মা শাফী হানাফী (রহ) বলেনঃ
চার ইমাম থেকেও মুখে নিয়ত পড়া প্রমাণিত
নেই। (দেখুনঃ শামী ১/৩৮৬ ; বাহরুর রায়িক
১/২৭৮)
(০৬) আশরাফ আলী থানবী (রহ)
লিখেছেনঃ সমাজে যেসব নিয়তনামা
প্রচলিত আছে তা মুখে নিয়ত পাঠ করার
কোন প্রয়োজন নেই। (দেখুনঃ
বেহেস্তি জেওর ২/১৭-১৮)
_______________
(০৭) হানাফী ফিকাহ “দুররে মুখতারে”
রয়েছেঃ নিয়তনামা অর্থাৎ “নাওয়াইতুয়ান
উসাল্লী ……” পাঠ সম্পর্কে সহীহ
হাদীস তো দূরের কথা কোন যঈফ
হাদীসেও নেই। চার ইমামের একজনও
এই নিয়ত পাঠ করতেন না। মুখে নিয়ত পাঠ
করা বিদ’আত। (প্রমান দেখুনঃ দুররে মুখতার
১/৪৯ , হিদায়া ১/২২)
_______________
(০৮) মালিকী মাযহাব মতে মুখে উচ্চারণ
করে নিয়ত পাঠ করা মাকরুহ। (প্রমান দেখুনঃ
মিরকাত ১/৩৬)
_______________
(০৯) হাম্বলী মাযহাব মতে মুখে উচ্চারণ
করে নিয়ত পাঠ করা বিদ’আত। (প্রমান
দেখুনঃ মিরকাত ১/৩৬)
_______________
(১০) হাফিয ইবনুল ক্বাইয়্যিম (রহ) বলেনঃ
মুখে নিয়ত পাঠ করা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়া সাল্লাম, সাহাবায়ে কেরাম , তাবেঈ ,
কারো হতেই কোন প্রমান পাওয়া যায় না।
মুখে পাঠের এই পদ্ধতি শয়তানের একটি
কুমন্ত্রণা। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম যখন নামাযে দাঁড়াতেন তখন শুধু
“আল্লাহু আকবার” বলতেন। আর আগে
কিছু বলতেন না। সুতরাং মুখে উচ্চারণ করে
নিয়ত পাঠ করা বিদ’আত। চার ইমামও এরূপ
নিয়তনামা পড়াকে পছন্দ করেননি। (প্রমান
দেখুনঃ ইগাসাতুল লুহফান ১/১৩৬ ; যাদুল
মা’আদ ১/৫১)
_______________
(১১) সৌদি আরবের সর্বোচ্চ ওলামা
পরিষদের সদস্য এবং জাতীয় ফতোয়া
বোর্ডের স্থায়ী সদস্য – মুহাম্মদ বিন
সালেহ আল উসাইমীন (রহঃ) বলেনঃ
আরবী নিয়ত শব্দের অর্থ হল মনে ইচ্ছা
পোষণ করা। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম থেকে এটা প্রমাণিত নেই। না
প্রমাণিত আছে কোন সাহাবী এবং তাবেঈ
থেকেও। তাই মুখে নিয়ত পাঠ করা বিদআত।
(প্রমান দেখুনঃ ফাতাওয়া আরকানুল ইসলাম ,
৩৩৯-৩৪০ পৃষ্ঠা)
_______________
(১২) ইমাম ইবনু তাইমিয়াহ (রহ) বলেনঃ শব্দ
করে মুখে উচ্চারণ করে নিয়ত পাঠ করা
নিকৃষ্ট বিদ’আত। যে ব্যাক্তি একে উত্তম
বা মুস্তাহাব বলবে তাকে তওবা করার
নির্দেশ দিতে হবে। যদি সে তওবা করে
নেয় তাহলে ভাল , অন্যথায় তাকে
উপযুক্ত শাস্তি দিতে হবে। (দেখুনঃ
মাজমু’আহ ফাতাওয়াহ শায়খুল ইসলাম ইবনে
তাইমিয়াহ)
_______________
(১৩) মদীনার রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম এর মসজিদে নববীর খতীব এবং
মদীনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যক্ষ
আল্লামা আবু বাকার জাবির আল-জাযায়েরী
তার রচিত গ্রন্থে লিখেছেন, নামাযী
যে নামাযের জন্য দাঁড়াবে, মনে মনে
তার নিয়ত করা আবশ্যক। নিয়ত মুখে উচ্চারণ
করে পড়া রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম এর সুন্নাতের বিরোধী অর্থাৎ
বিদআত। চার ইমাম সহ তার কোন অন্ধ
অনুসারীও মুখে মুখে কোন শব্দ
উচ্চারণ করতে বলেননি।
(তার নিজ রচিত – পবিত্রতা অর্জন ও নামায
আদায়ের পদ্ধতি কিতাবের ২০ পৃঃ)
_______________
(১৪) সৌদি আরবের মুফতী প্রধান,
মহাপরিচালিক ইসলামী গবেষণা ও ফতোয়া
অধিদপ্তর ও উচ্চ ওলামা পরিষদের প্রধান
এবং ধর্মমন্ত্রী শায়েখ আব্দুল আযীয
বিন আব্দুল্লাহ বিন বায (রঃ) তার নিজ রচিত
গ্রন্থে লিখেছেন, মুখে নিয়ত করা
যাবে না। কেননা শরিয়তে এরূপ করার হুকুম
নেই বরং এটা একটি বিদআত। কারণ রাসুল
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কিংবা
সাহাবীগণ মুখে উচ্চারণ করে নিয়ত
করেন নাই। ( তার নিজ রচিত – নবী করিম
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর নামায পড়ার
পদ্ধতি কিতাবের ৫ পৃঃ – ধর্ম বিষয়ক
মন্ত্রণালয়, মুদ্রণ ও প্রকাশনা বিষয়ক সংস্থা,
রিয়াদ, সৌদী আরব, ১৪১৬ হিঃ, ১৯৯৫ ইং সালে
প্রকাশিত
(কিঞ্চিত সংশোধিত by শাইখ আব্দুল্লাহিল
হাদী বিন আব্দুল জলীল)
No comments